পথ শিশু
শিশু আমি শিশু মাগো
ঘুড়ে বেড়াই পথে পথে,
এক টুকরো রুটির জন্য
পরে থাকি অন্যের চরণলোটে।
শিশু আমি শিশু মাগো
পরে থাকি রাস্তাঘাটে,
খোলা আকাশ দেখে স্বপ্ন আঁকি
এই বুঝি মা আমায় দিলো নাকি ডাকি।
শিশু আমি শিশু মাগো
ঝড়া ছিন্ন বস্ত্রে থাকি,
সারা গায়ে ধূলা কণা
নিত্য করি মাখামাখি।
মা যে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিবে
আদর করে বাবুসোনা ডাকিবে,
শুনি নাই কো এমন ডাক শুনি নাই কো কভু
বুকের মাঝে স্বপ্ন আঁকি পূরন হবে না গো প্রভু।
নারী
নারী তুমি দশভুজা
ভুবনমোহিনী জননী,
নারী তুমি সর্ববিজয়া
আনন্দ মোহনী।
নারী তুমি শ্যামারূপী
অসুর বিনাশিনী,
নারী তুমি জগৎ জননী
ভুবনেশ্বরী।
নারী তুমি যুদ্ধজয়ের
আমার শক্তি ধাত্রী,
যুদ্ধ জয়ে তুমি আমার
বিজয়ের ও রজনী।।
তুমি নারী দুষ্টের দমনকারী
দূর্গেশনন্দিনী,
নারী তুমি গর্ভধারিণী
মাতা জগৎ ধারনী।
আমার বাংলায়
আমার সোনার বাংলায়
অঝরে ঝরেছে কত প্রাণ,
বিজয়ের তরে দিয়েছি-
কত শত মায়ের মান-সম্মান।
রক্তে মাখা বাংলা আমার
বিজয় এনেছি নীড়ে,
দুষ্কৃতকারীর মস্তক ছিঁড়ে
এনেছি এই বাংলারে।
তবুও কেন আজ-
দ্বন্দ্ব আমাদের মাঝে,
ধর্ম নিয়ে কেন আজ-
মারামারি কেন সকল কাজে।
সোনার বাংলার বিজয়ের তরে
লড়েছি সকলে মিলে,
এখন কেন ধর্ম নিয়ে-
কটুক্তি কথাবার্তা বলে।
রক্ত রাঙা বাংলা আমার
কেঁড়ে নিচ্ছে ওরে,
ধর্মে ধর্মে বাদ লাগিয়ে
খুন-খারাপি করে।
বাংলার মানুষ তুমি আমি-
সেটা মোদের জানা,
জেনেও কেন ধর্মের প্রতি
দিচ্ছো তোমরা হানা?
বাংলা আমার বাংলা তোমার
চলো চলি একসাথে,
কোন সে হানাদার দিচ্ছে হানা
আমার সোনার বাংলাতে?