১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর ভিয়েতনামে ফ্রান্সের সেনাদের হামলা শুরুর মধ্য দিয়ে দেশটির জনগণের দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামের হো চি মিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কিন্তু ফ্রান্স এই স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। ফ্রান্সের সেনারা ভিয়েতনামে ফিরে আসে এবং স্বাধীনতাকামী ভিয়েতনামদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
এই যুদ্ধকে ফরাসি-ভিয়েতনাম যুদ্ধ বলা হয়। এই যুদ্ধ ১৯৫৪ সালে জেনেভা সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভিয়েতনামকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট সরকারের অধীনে এবং দক্ষিণ ভিয়েতনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে আসে।
ফরাসি-ভিয়েতনাম যুদ্ধ ভিয়েতনামের জনগণের জন্য একটি দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছিল। এই যুদ্ধে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। এই যুদ্ধের ফলে ভিয়েতনাম দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং দুই ভাগের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
ফরাসি-ভিয়েতনাম যুদ্ধের ফলে ভিয়েতনামের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার শিক্ষা লাভ করে। এই যুদ্ধের ফলে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট সরকার আরও শক্তিশালী হয় এবং ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামকে পরাজিত করে ভিয়েতনামকে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
ভিয়েতনামদের স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশক ছিলেন হো চি মিন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং একজন সফল কূটনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে ভিয়েতনামরা ফরাসিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয়লাভ করে।
ফরাসি-ভিয়েতনাম যুদ্ধ ভিয়েতনামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই যুদ্ধের ফলে ভিয়েতনাম একটি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই যুদ্ধের ফলে ভিয়েতনামের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার শিক্ষা লাভ করে।