টিপু সুলতান (১৭৫০-১৭৯৯) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসক। তিনি তার বীরত্বের জন্য “শের-ই-মহীশূর” (মহীশূরের বাঘ) নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইংরেজদের নাকানিচুবানি খাওয়াতে সক্ষন হয়েছিলেন, এবং তার শাসনকালে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছিলেন।
টিপু সুলতান ১৭৫০ সালের ২০ নভেম্বর মহীশূরের দেবানাহাল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হায়দার আলী মহীশূরের সেনাপতি ছিলেন। টিপু সুলতান শৈশব থেকেই ছিলেন মেধাবী এবং সাহসী। তিনি তার পিতার কাছ থেকে সামরিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
১৭৮২ সালে হায়দার আলী মারা গেলে টিপু সুলতান মহীশূরের শাসক হন। তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে তিনটি ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৭৮৩ সালের ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের পরাজিত করেন। ১৭৯২ সালের ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন। কিন্তু ১৭৯৯ সালের তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের কাছে পরাজিত এবং নিহত হন।
টিপু সুলতান তার শাসনকালে একটি নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করেন এবং একটি নতুন ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। গঠন করেন একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী এবং প্রতিষ্ঠা করেন একটি আধুনিক শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থা । তিনি তার রাজ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নেও অনেক কাজ করেন।
টিপু সুলতান একজন উদার শাসক ছিলেন। তিনি তার রাজ্যের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
টিপু সুলতানের শাসনকালের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
- ১৭৮২ সালে হায়দার আলী মারা গেলে টিপু সুলতান মহীশূরের শাসক হন।
- ১৭৮৩ সালের ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের পরাজিত করেন।
- ১৭৯২ সালের ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন।
- ১৭৯৯ সালের ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের কাছে পরাজিত এবং নিহত হন।
টিপু সুলতানের শাসনকালে মহীশূর রাজ্যে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়। তিনি তার রাজ্যে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করেন, একটি আধুনিক শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করেন।